টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দুইদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় কমছে নদ-নদীর পানি। তবে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, মৃত বেড়ে ১১
বন্যার পানি কমতে শুরু করায় ভেসে উঠছে আমন ধান, সবজি ক্ষেত ও মাছের ঘের। বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর পানি ১৬৭ সেন্টিমিটার, চেল্লাখালী মদীর ৮৫ সেন্টিমিটার ও ব্রক্ষপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। নিহতরা হলেন-নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৬), নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের দুই ভাই আলম (১৭) ও হাতেম (৩০), নকলা উপজেলায় উরফা ইউনিয়নের কুড়েরপাড় গ্রামের জাল মাহমুদের ছেলে মুকতার আলী (৫০), গনপদ্দী ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, নকলা জালালপুর গ্রামের বাসিন্ধা উজ্জল মিয়া (৪০), টালকী ইউনিয়নের বড় পাগলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রহিম (৫)।
এছাড়া ঝিনাইগাতীর সন্ধাকুড়া থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনো তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপরদিকে শেরপুর সদরের ধলা ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের জামানের ৮ বছর বয়সী কন্যাশিশু জিমি আক্তার নালিতাবাড়ী নানা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে পানিতে পড়ে মারা যায়।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, অল্প পরিমাণে বৃষ্টি হলেও বন্যার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রম চলমান আছে। যেসব এলাকায় আমরা যেতে পারছি না সেখানে সেনাবাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যবসায়ীসহ সবাই এগিয়ে এসেছেন।
আরও দেখুনঃ